ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪

অপরাধ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটাতে হবে  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩৪, ২২ জুন ২০১৮

তথ্য-প্রযুক্তি প্রসার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি পয়েছে। অপরাধের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।  

গত ২১ জুন জাতিসংঘভুক্ত দেশের পুলিশ প্রধানদের দ্বিতীয় সম্মেলনে মূলপর্বের অনুষ্ঠানে বক্তব্য তিনি একথা বলেন। আজ  গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে একথা জানানো হয়।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সহিংসতার ক্রম পরিবর্তনশীল রূপের প্রেক্ষাপটে অরক্ষিত মানুষকে রক্ষা করতে এবং অপরাধের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটাতে হবে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান বলেন, অসম হুমকিসংঙ্কুল পরিবেশে নিরাপদে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও উন্নত প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় রসদের সরবরাহ এবং কন্টিনজেন্সি পরিকল্পনা উন্নত করার ওপরও জোর দেন।

যক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে গত ২০ জুন এসম্মেলন শুরু হয়। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের পুলিশ প্রধানদের দু`দিনব্যাপী দ্বিতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক অংশ গ্রহণ করেন।

এতে বলা হয়েছে, ২০জুন বিকালে জাতিসংঘের ডেলিগেটস্ ডাইনিং রুমে সদস্যরাষ্ট্রসমূহের পুলিশ প্রধানদের সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ সম্মেলন শুরু হয়। পরের দিন ২১জুন ছিল এ সম্মেলনের মূল কর্মসূচি।

ওইদিন সকাল পৌনে ১০টায় সাধারণ পরিষদ হলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশসদস্যসহ সকল নিহত শান্তিরক্ষীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে সম্মেলনের মূল পর্বের সূচনা করা হয়।

সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ দেন জাতিসংঘ মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট মিজ্ মারিয়া লুইজা রিবিরো ভায়োট্টি। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পূর্ব তিমুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি জোসে র‌্যামস্-হোরতা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ পুলিশের উপর নির্মিত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। 

সম্মেলনের মূল আলোচনা অংশটিকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়। এগুলো হল: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জসমূহ, জাতিসংঘ পুলিশ, সহিংসতা প্রতিরোধ ও শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ পুলিশের ভূমিকা এবং দায়বদ্ধতা ও কর্মদক্ষতা।

উল্লেখ্য, বিশ্বের ১৬টি পিস্ কিপিং মিশনে ৮৯টি দেশের প্রায় ১১ হাজার নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্য বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন।

টিআর/এসি   

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি